রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথাঃ  সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি। নিম্নে পদ্ধতি  দু’টি  স¤পর্কে  বিস্তারিত আলোচনা  করা হলোঃ

সাধারণ পদ্ধতিঃ
রিটার্নে  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি  উল্লেখ  করা  না  হলে  রিটার্নটি  সাধারণ  পদ্ধতির আওতায়  দাখিলকৃত  বলে  গণ্য  হবে।  এক্ষেত্রে  রিটার্নে  প্রদর্শিত  আয়ের  সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে করদাতার শুনানী গ্রহণপূর্বক মামলা নি®পত্তির বিধান রয়েছে।

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ
করদাতা তাঁর নিজের আয় নিজে পরিগণনা করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন -এটি  বিশ্বব্যাপী  বহুল  অনুসৃত  পদ্ধতি।  এই  পদ্ধতিতে  করদাতার  দাখিলকৃত  রিটার্ন প্রাথমিকভাবে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের সমর্থনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এক্ষেত্রে কর  নির্ধারণী  আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।  করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায়  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা  রিটার্নের  উপরে  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি  উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতির  আওতায়  গৃহীত  হবে।  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে  দাখিলকৃত  রিটার্ন   সমূহের  মধ্যে  একটি  অংশ  জাতীয়  রাজস্ব  বোর্ড  কর্তৃক নির্ধারিত এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে অডিট হয়ে থাকে।
২০১৪-২০১৫ করবর্ষে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ণসমূহের মধ্যে যে সকল রিটার্ন পূর্ববর্তী কর বছরের নিরূপিত আয়ের কমপক্ষে ২০% আয় বৃদ্ধি করে এবং নি¤েœাক্ত শর্ত সমূহ  পূরণ করে  দাখিল  করবে  কর বিভাগ  কর্তৃক  উক্ত  রিটার্ন  অডিট  না করার বিধান করা হয়েছে।
পালনীয় শর্তসমূহঃ
ক. রিটার্নের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য কর সৃষ্টি হবে না।
খ. কোনরূপ দান গ্রহণ প্রদর্শন করা যাবে না।
গ. রিটার্নে করমুক্ত আয় প্রদর্শন করলে করমুক্ত আয়ের সমর্থনে যাচাইযোগ্য দালিলিক প্রমানাদি রিটার্নের সাথে দাখিল করতে         হবে।
ঘ. আয়কর  অধ্যাদেশ,  ১৯৮৪  এর  ৪৪  ধারা  অনুযায়ী  জারীকৃত  প্রজ্ঞাপন অনুসারে  হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়         এরূপ কোন আয় প্রদর্শন করা যাবে না।
ঙ. ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য যেকোন উৎস থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ গ্রহন প্রদর্শন করা হলে দাখিলকৃত         রিটার্নের সাথে গৃহীত ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী বা হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে।
পূর্ববর্তী  বছরের  ন্যায়  এ  বছরও  আয়কর  অধ্যাদেশের  ৮২বিবি  ধারায়  সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত নতুন রিটার্নে ব্যবসা ও পেশা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ৪ গুন হারে প্রারম্ভিক পূঁজি নেয়া যাবে। তবে এ পূঁজি বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট আয় বছরে বা আয় বছর শেষ হওয়ার  পরবর্তী ৫  বছরের মধ্যে  ব্যবসা বা পেশা থেকে  স্থানান্তর  করা  যাবে না। করলে যে বছর স্থানান্তর করা হবে, সে বছরের সংশ্লিষ্ট করবছরে অর্থ স্থানান্তরকারীর অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য যে, নিরীক্ষার আওতায় না পড়লেও কোন রিটার্নে আয় গোপন করা হলে বা কর ফাঁকি থাকলে, সংশ্লিষ্ট করবছরের  রিটার্নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের ৯৩  ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

উদাহরণ-১
করদাতা জনাব ইকবাল হোসেন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। তিনি ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে IT-10B ফরম এর ক্রমিক নং- ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ তে কোন তথ্যাদি প্রদান করেননি। অর্থাৎ করদাতা ২০১৩-১৪ আয় বছরের খরচের হিসাব, সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ এবং সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাখ্যা প্রদর্শন করেননি।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব ইকবাল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে পড়সঢ়ষবঃব রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না। ফলে করদাতা তাঁর রিটার্নটি ৮২ইই ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-২
করদাতা জনাব বদিউল আলম ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে IT-10BB র্ফম এ ২০১৩-১৪ আয় বছরের যাবতীয় খরচ বাবদ মোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদর্শন করেন এবং তা ওঞ-১০ই র্ফম এর ক্রমিক নং- ১৫ তে উল্লেখ করেন। তিনি ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখের IT-10B ফরম এর ক্রমিক নং- ১৮ তে ১০ লক্ষ টাকা পার্থক্য প্রদর্শন করেন।  অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখে করদাতা জনাব বদিউল আলমের সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ ২০১৩-১৪ আয় বছরের আয়ের উৎসের তুলনায় ১০ লক্ষ টাকা বেশি।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব বদিউল আলম বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে সঠিক রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না এবং করদাতা তাঁর রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না। কারণ এক্ষেত্রে করদাতার সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ তাঁর আয়ের পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুতরাং এ রিটার্নটিকে সাধারণ পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন বলে অভিহিত করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৮৩(২) অথবা ৮৪ ধারায় কর নির্ধারণ করা যাবে।

উদাহরণ-৩
করদাতা জনাব রুহুল আমিন ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রুহুল আমিন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৪
করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে বিদেশে অর্জিত আয় হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা করমুক্ত আয় প্রদর্শন করেন কিন্তু উক্ত আয়ের স্বপক্ষে কোনরূপ দালিলিক প্রমাণাদি দাখিল করেন নাই। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকবে না, কারণ তিনি রিটার্নের সাথে করমুক্ত আয়ের স্বপক্ষে যাচাইযোগ্য প্রমাণাদি দাখিল করেননি।  

উদাহরণ-৫
করদাতা মোসাঃ শামীমা পারভীন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে ৮২ইই ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর স্বামীর নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে ৮২ইই ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাবা শামীমা পারভীন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি ৮২ইই ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৬
করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর মামার নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ প্রদর্শন করেন কিন্তু ঋণ গ্রহণের সমর্থনে তাঁর ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষে ঋণ গ্রহণের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।  

উদাহরণ-৭
করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৬ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। তিনি উক্ত রিটার্নে মৎস্য চাষ খাতে ৫ লক্ষ টাকা আয় প্রদর্শন করেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ মৎস্য চাষ খাতে আয় প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৮
করদাতা জনাব শামীম আল মামুন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে উৎসে কর পরিশোধ বাবদ ৫০ হাজার টাকা, অগ্রিম আয়কর পরিশোধ বাবদ ১ লক্ষ টাকা এবং বিগত কর বছরের ফেরত যোগ্য কর বাবদ ৭৫ হাজার টাকা সর্বমোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কর পরিশোধ দাবি করে উক্ত রিটার্নে ৩৫ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব শামীম আল মামুন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষের রিটার্নে ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত
রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।
এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *