ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড

প্রবর্তনঃ ১৯৮১

মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর

বন্ডের মূল্যমানঃ

টাকা ২৫,০০০/-; টাকা ৫০,০০০/-; টাকা ১,০০,০০০/-; টাকা ২,০০,০০০/-; টাকা ৫,০০,০০০/-; টাকা ১০,০০,০০০/; এবং ৫০,০০,০০০/-।

মুনাফাঃ

  • মেয়াদান্তে মুনাফা ১২%। বন্ড ধারক ১২% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলিত না হলে, মেয়াদপূর্তিতে মুল অংকের সাথে ষান্মাসিকভিত্তিতে ১২% চক্রবৃদ্ধি হারে উক্ত মুনাফা প্রদেয় হবে।

মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ

  • একজন ওয়েজ আর্নার প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম টাকা ২৫,০০০/- বা ততোধিক মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে নির্ধারিত হারে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাবে। তবে উক্ত ক্রয় সংশ্লিষ্ট ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই সংঘটিত হতে হবে।
  • ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তা হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
  • বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৬-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। এর পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
  • মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার পরিমাণ টাকা ৫,০০,০০০/- এর অধিক হবে না;
  • ওয়েজ আর্নারের বয়স ৫৫-বছরের অধিক হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না।

সি.আই.পি সুবিধাঃ

  • এ বন্ডে টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন বা ততোধিক বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন-এর নীচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।

কারা ক্রয় করতে পারেঃ

  • বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ‘ওয়েজ আর্নার [১]’‘ নিজ নামে অথবা; আবেদনপত্রে উল্লিখিত তার মনোনীত ব্যক্তির নামে অথবা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বেনিফিসিয়ারী [২]-এর নামে এ বন্ড ক্রয় করা যায়;
  • বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশী সরকারী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ;
  • বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন, তারা এ বন্ড ক্রয় করতে পারবেন।

কোথায় পাওয়া যাবেঃ

  • বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তফসিলী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ঐ সকল শাখা, যারা ওয়েজ আর্নারদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করে থাকেন;
  • বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ;

ক্রয় পদ্ধতিঃ

  • বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এ.ডি) শাখাসমূহে এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের বিদেশস্থ শাখা অথবা তাদের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহে বন্ড ক্রয়ের আবেদনপত্র ডি.বি-১ ফরম পুরণ ও স্বাক্ষর করে বন্ড ক্রয়ের আবেদন করা যায়।
  • ওয়েজ আর্নারের আবেদনের সূত্রে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে, ব্যাংক ওয়েজ আর্নার কর্তৃক পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমাকৃত অর্থ বিকলন করে বন্ড ইস্যু করতে পারে;
  • কোন বেনিফিসিয়ারী ওয়েজ আর্নারের নিকট হতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের বিপরীতে দালিলিক প্রমানাদি উপস্থাপন সাপেক্ষে বন্ড ক্রয় করতে পারেন;

মূল্য পরিশোধ পদ্ধতিঃ

  • নগদ বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা রেমিট্যান্স হিসেবে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা হতে রুপান্তরিত বাংলাদেশী টাকায়;
  • ওয়েজ আর্নার কর্তৃক বিদেশ হতে প্রেরিত এবং তাঁর এফ.সি একাউন্টে জমাকৃত অর্থ দ্বারা অথবা;
  • বৈদেশিক মুদ্রায় চেক, ড্রাফট বা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকা ড্রাফট-এর মাধ্যমে; 

বন্ড নগদায়ন পদ্ধতিঃ

  • এ বন্ডের ইস্যু অফিস [৩]-ই হবে এর প্রদানকারী অফিস।
  • বিদেশেস্থ ইস্যু অফিস থেকে বন্ড ক্রয় করা হলে সেখান থেকে নগদায়ন করা যায় না।
  • বিদেশ থেকে বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আবেদনপত্রে বাংলাদেশে প্রদানকারী অফিসের নাম উল্লেখ করতে হয়।

নমিনী সংক্রান্তঃ

  • বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে নমিনী বন্ডের মূল্য, সুদ এবং মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে;
  • বেনিফিসিয়ারী কর্তৃক ক্রয়কৃত বন্ডে একই পদ্ধতিতে নমিনী নিয়োগ করা যাবে;
  • প্রতি সনদের জন্য একজনের অধিক নমিনী প্রদান করা যাবে না;
  • বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বে নমিনীর মৃত্যু হলে, নমিনীর কার্যকারিতা থাকবে না;
  • নমিনী বাতিল বা পরিবর্তন করা যাবে;
  • বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি নমিনীর মৃত্যু ঘটে, তবে মৃত বন্ড ধারকের উত্তোরাধিকারীগণ বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন;
  • উত্তোরাধিকারীগণ শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা গ্রহণ করতে পারবেন;

অন্যান্য বৈশিষ্টসমূহঃ

  • এ বন্ডের আসল অংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগযোগ্য;
  • ৪০% থেকে ৫০% পর্যন্ত  মৃত্যু-ঝুঁকির সুবিধা রয়েছে;
  • ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
  • বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে;
  • হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে।
  • আট কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব বাংলাদেশি মুদ্রা বিনিয়োগকারীর জন্য সি. আই.পি (C.I.P) সুবিধা রয়েছে;
  • এফসি একাউন্ট থাকার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
  • এ বন্ডে বিনিয়োগের কোন ঊধ্বসীমা নেই।
  • এ বন্ডে বিনিয়োগকৃত মূল অংক বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রত্যাবাসিত করা যাবে;
  • বন্ডের বিপরীতে প্রাপ্র মূল অংক, মুনাফা এবং মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা ইত্যাদি বাংলাদেশে এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রদেয়;
  • ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড-এ বিনিয়োগকৃত এবং অর্জিত মুনাফা আয়করমুক্ত;
  •  বন্ডের একটি এককের ক্ষেত্রে একজনের বেশী ধারক ও নমিনীর মনোনয়ন দেয়া যাবে না;
  • অসুস্থতাজনিত কারনে বন্ড ধারক স্বাক্ষর করতে অপারগ হলে এবং একজন গেজেটেড  অফিসার কর্তৃক তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির  ছাপ প্রত্যয়ন করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক সরেজমিন যাচাইয়ান্তে , বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বন্ড ধারকের হাতে ছাপ গ্রহন করে মেয়াদপূর্তি মূল্য অথবা সুদ পরিশোধ করবে।
  • বন্ডের ক্রেতা শরিরীকভাবে পঙ্গু, স্বাক্ষর প্রদানে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে এবং এর পক্ষে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক যাচাইয়ান্তে,  বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উক্ত বন্ডের মেয়াদপূর্তি মূল্য অথবা সুদ নমিনী অথবা উত্তরাধিকারীকে পরিশোধ করবে।

[১] ওয়েজ আর্নার বলতে একজন বাংলাদেশী নাগরিক, যিনি লাভজনকভাবে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নিয়োজিত কিন্তু কোন সরকার বা সরকারী সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত বা আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হতে বেতন-ভাতাদি প্রাপ্ত হয় না। তাছাড়া যিনি আদতে বাংলাদেশী নাগরিক কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।

[২] বেনিফিসিয়ারী বলতে একজন বাংলাদেশীকে বুঝাবে, যিনি বিদেশে কর্মরত ওয়েজ আর্নারের নিকট হতে প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্ত হন এবং যিনি ওয়েজ আর্নার বিনিময় হার প্রাপ্তির অধিকার লাভ করেন।

[৩] ইস্যু অফিস বলতে-বাংলাদেশের তফসিলী বাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ঐ সকল শাখা, যারা ওয়েজ আর্নারদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করে থাকে;বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহ।

তথ্যসূত্র : জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *