বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথাঃ সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। নিম্নে পদ্ধতি দু’টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১। সাধারণ পদ্ধতিঃ
সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটি কর নির্ধারণী আদেশ (assessment order) বলে গণ্য হয় না। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার কর নির্ধারণ করেন। করদাতা কর্তৃক রিটার্নে প্রদর্শিত তথ্য উপ কর কমিশনারের নিকট সঠিক মনে হলে তিনি করদাতাকে শুনানীতে না ডেকেই কর নির্ধারণ করতে পারেন। আবার প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথাপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি না থাকলে বা উপ কর কমিশনার প্রয়োজন মনে করলে করদাতাকে শূনানীতে ডেকে করদাতার বক্তব্য, তথ্য, প্রমাণাদি বিবেচনায় নিয়ে কর নির্ধারণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, নিরীক্ষার আওতায় না পড়লেও কোন রিটার্নে আয় গোপন করা হলে বা কর ফাকি থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর বছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের 93 ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। একই সাথে উক্ত রিটার্ন process করা যাবে।
২। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ
করদাতা তাঁর নিজের আয় নিজে পরিগণনা করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন -এটি বিশ্বব্যাপী বহুল অনুসৃত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে করদাতার দাখিলকৃত রিটার্ন প্রাথমিকভাবে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয়। সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতা তার নিজের আয় নিরুপন করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করেন। ২০১৬-১৭ কর বছরে কোন ১২-ডিজিট টিআইএন ধারী ব্যক্তি-করদাতা রিটার্নে প্রদর্শিত মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধ পূর্বক ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে বা উপকর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। করদাতার ১২-ডিজিট টিআইএন না থাকলে করদাতা সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না। তাছাড়া, মোট আয়ের প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধ না করা হলে বা ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে বা উপ কর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলকৃত না হলে করদাতা রিটার্ন সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় পড়বে না।
বর্ণিত সকল শর্ত পূরণ করে সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা হলে আয়কর বিভাগ থেকে করদাতাকে যে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করা হয় তা-ই কর নির্ধরণী আদেশ (assessment order) বলে গণ্য হয়।
পরবর্তীতে উপ কর কমিশনার কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণ ও এর কারনে কম করে পরিশোধ করা হলে তা আদায়ের লক্ষ্যে রিটার্নটি process করেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত criterion এর ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত কোন রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বচন করে উপ কর কমিশনারকে নির্বাচিত রিটার্ন অডিট এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কর নির্ধারনের জন্য বলতে পারে।
২০১৬-২০১৭ করবর্ষে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্নসমূহের মধ্যে যে সকল রিটার্ন পূর্ববর্তী কর বছরে নিরূপিত আয়ের কমপক্ষে ২০% আয় বৃদ্ধি করে এবং নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ পূরণ করে দাখিল করবে কর বিভাগ কর্তৃক উক্ত রিটার্ন অডিট না করার বিধান করা হয়েছে।
পালনীয় শর্তসমূহঃ
ক. রিটার্নের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য কর সৃষ্টি হবে না।
খ. কোনরূপ দান গ্রহণ প্রদর্শন করা যাবে না।
গ. রিটার্নে করমুক্ত আয় প্রদর্শন করলে করমুক্ত আয়ের সমর্থনে যাচাইযোগ্য দালিলিক প্রমাণাদি রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।
ঘ. আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৪ ধারা অনুযায়ী জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ কোন আয় প্রদর্শন করা যাবে না।
ঙ. ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য যেকোন উৎস থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ গ্রহণ প্রদর্শন করা হলে দাখিলকৃত রিটার্নের সাথে গৃহীত ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী বা হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে।
পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় ২০১৬-২০১৭ কর বছরেও আয়কর অধ্যাদেশের ৮২বিবি ধারায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত নতুন রিটার্নে ব্যবসা ও পেশা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ৪ গুন হারে প্রারম্ভিক পূঁজি নেয়া যাবে। তবে এ পূঁজি বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট আয় বছরে বা আয় বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ব্যবসা বা পেশা থেকে স্থানান্তর করা যাবে না। করলে যে বছর স্থানান্তর করা হবে, সে বছরের সংশ্লিষ্ট করবছরে অর্থ স্থানান্তরকারীর অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য যে, নিরীক্ষার আওতায় না পড়লেও কোন রিটার্নে আয় গোপন করা হলে বা কর ফাঁকি থাকলে, সংশ্লিষ্ট করবছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের ৯৩ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
সার্বজনীন স্ব-নির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82BB এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের বিদ্যমান ধারা 82BB এর উপ-ধারা (1) এবং উপ-ধারা (2) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে কোন করদাতা ১২ ডিজিটের টিআইএন (e-TIN) দাখিল, ধারা 74 অনুযায়ী কর পরিশোধ এবং
ধারা 75 এ বর্ণিত শর্তাদি পূরণপূর্বক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন দাখিল- এ তিনটি শর্ত পূরণ করে ধারা 82BB উল্লেখপূর্বক রিটার্ন দাখিল করলে উপ কর কমিশনার নিজে অথবা তার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করবেন, যা উপ-ধারা (2) ও (3) এর বিধান সাপেক্ষে উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে গণ্য হবে।
(২) ধারা 82BB এর উপ-ধারা (1) এর আওতায় দাখিলকৃত রিটার্ন এর ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার প্রতিস্থাপিত উপ-ধারা (2) এর বিধান অনুযায়ী process এর কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তাছাড়া বিদ্যমান বিধান অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উপ কর কমিশনার উপ-ধারা (3) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত রিটার্ন এর ক্ষেত্রে audit কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন। অধিকন্তু আয় গোপন বা কর ফাঁকির কোন তথ্য পাওয়া গেলে ধারা 93 অনুযায়ী কার্যক্রমও গ্রহণ করা যাবে।
(৩) উপ কর কমিশনার কর্তৃক return process এর ক্ষেত্র এবং পরিসর এর বিষয়টি নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
Return process কার্যক্রমে উপ কর কমিশনার পরীক্ষা করে দেখবেন যে দাখিলকৃত রিটার্নে কোন গাণিতিক ত্রুটি (arithmetic error) আছে কি না বা করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত তথ্যের আলোকে দৃশ্যমান কোন অশুদ্ধ দাবী (incorrect claim) আছে কি না।
গাণিতিক ত্রুটি (arithmetic error) বা অশুদ্ধ দাবী (incorrect claim) এর কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
(ক) প্রদর্শিত খাতভিত্তিক আয়ের যোগফল সঠিক না হওয়াঃ
উদাহরণস্বরূপ, একজন করদাতা রিটার্নের আয় বিবরণী অংশে বেতনাদি কলামে ২,৫০,০০০/- টাকা ও গৃহ-সম্পত্তি কলামে ২,০০,০০০/- টাকা আয় প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু মোট আয় কলামে ৩,৫০,০০/- টাকা প্রদর্শন করেছেন। এক্ষেত্রে করদাতার মোট আয় হবে ৪,৫০,০০০/- টাকা, কিন্তু করদাতা গাণিতিক ভুলের কারণে মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৩,৫০,০০০/- টাকা। ফলে রিটার্নটির ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) অনুযায়ী ঢ়ৎড়পবংং এর কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
(খ) আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী দাবীকৃত বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত গণনা সঠিক না হওয়াঃ
উদাহরণস্বরূপ, একজন করদাতা ১০,০০,০০০/- টাকা মোট আয় এবং কর রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের পরিমাণ ২,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শনপূর্বক বিনিয়োগের উপর ৪০,০০০/- টাকা কর রেয়াত দাবী করেন। এক্ষেত্রে করদাতার দাখিলকৃত তথ্য অনুযায়ী কর রেয়াতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০,০০০/- টাকা (২,০০,০০০/- টাকার ১৫%), অথচ করদাতা কর রেয়াত গ্রহণ করেছেন ৪০,০০০/- টাকা। এরূপ ক্ষেত্রেও উপ-ধারা (২) অনুযায়ী process এর কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
(গ) গৃহ সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি বাবদ বিধিবদ্ধ সীমার বাইরে অনুমোদনযোগ্য খরচ দাবী করাঃ
উদাহরণস্বরূপ, কোন করদাতা যদি আবাসিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যের পরিমাণ ২০,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে ৮,০০,০০০/- টাকা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ দাবী করেন তাহলে তার দাবীকৃত খরচ বিধিবদ্ধ অনুমোদিত সীমা (২০,০০,০০০/- টাকার ২৫% = ৫০০,০০০/- টাকা) থেকে বেশি হবে এবং রিটার্নটি উপ-ধারা (২) অনুযায়ী process যোগ্য হবে।
গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী এর আরো কয়েকটি নমুনা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
(i) অনুমোদিত খাতসমূহে বিনিয়োগ না করেও তার উপর কর রেয়াত দাবী;
(ii) ব্যবসা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 30 এর ক্লজ (g),
(h), (j), (k) এবং আয়কর বিধিমালার বিধি 65 এবং 65C তে বর্ণিত অনুমোদনযোগ্য খরচের সর্বোচ্চ সীমার অধিক খরচ দাবী;
(iii) অবচয় ভাতার ক্ষেত্রে তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত হার অপেক্ষা অধিক হারে অবচয় দাবী;
(iv) বেতন খাতে আয় প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালার বিধি 33A, 33B, 33C, 33D, 33E, 33G, 33H, 33I I 33J এর বিধানাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ না করে কম আয় পরিগণনা করা, ইত্যাদি।
উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্র ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রে রিটার্নে গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী থাকতে পারে, যা উপ-ধারা (2) অনুযায়ী process এর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হবে।
উল্লেখ্য, উপ-ধারা (2) এর আওতায় গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র করদাতার দাখিলকৃত তথ্যের উপরই নির্ভর করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোন করদাতার কর রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত বা প্রদর্শিত বিনিয়োগের
সমর্থনে প্রমাণপত্র সংযুক্ত করা হয়নি-এরূপ বিবেচনায় প্রদর্শিত বিনিয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। অনুরূপভাবে, কোন করদাতা দাবীকৃত সম্পদ ক্রয় বা সংযোজনের প্রমাণ দাখিল করেন নি- এ বিবেচনায়
অবচয়ের যাচাইযোগ্যতার প্রশ্ন উত্থাপন করে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এ সকল ক্ষেত্রে উপ-ধারা (3) এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ অবারিত থাকছে।
(৪) রিটার্নে কোন গাণিতিক ত্রুটি ও অশুদ্ধ দাবী পাওয়া গেলে উপ কর কমিশনার তা সমন্বয় করে করদাতার আয় নিরূপণ ও কর পরিগণনার কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। সমন্বয়ের কারণে যদি করদাতার করদায় বৃদ্ধি পায় তাহলে আয় নিরূপণ ও কর পরিগণনার পূর্বে যুক্তিসংগত সময় দিয়ে করদাতাকে লিখিতভাবে বক্তব্য প্রদানের জন্য পত্র প্রেরণ করতে হবে। করদাতার নিকট প্রেরিত পত্রে গাণিতিক ভুল বা অশুদ্ধ দাবীর বিবরণ, সমন্বয়ের ফলশ্রুতিতে নিরূপণযোগ্য আয়ের পরিমাণ, প্রযোজ্য করের পরিমাণ, কর রেয়াত বা ক্রেডিটের পরিমাণ, পরিশোধিত করের পরিমাণ, নীট প্রদেয়/ফেরৎযোগ্য করের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। করদাতার বক্তব্য চাওয়ার ক্ষেত্রে করদাতা বা তার প্রতিনিধিকে শুনানীতে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাবে না।
প্রেরিত পত্রে করদাতাকে যে তারিখের মধ্যে তার বক্তব্য দাখিল করতে বলা হবে উক্ত তারিখ অতিক্রান্ত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আয় ও কর পরিগণনা পত্র এবং নির্ধারিত ফরমে দাবীর নোটিশ যথাযথভাবে করদাতার নিকট প্রেরণ করতে হবে।
(৫) করদাতা যে অর্থ বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন সে অর্থ বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ১২ (বার) মাস পর্যন্ত উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। উক্ত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোন রিটার্ন process করা যাবে না।
(৬) যে ক্ষেত্রে রিটার্নে কোন গাণিতিক ভুল অথবা অশুদ্ধ দাবী নেই সে ক্ষেত্রে ধারা 82BB এর উপ-ধারা (2) এর আওতায় রিটার্ন process সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
(৭) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 82BB এর উপ-ধারা (3) এ কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। ফলে উপ-ধারা (1) এর আওতায় দাখিলকৃত রিটার্ন পূর্বের ন্যায় উপ-ধারা (3) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অডিটের জন্য নির্বাচনযোগ্য হবে।
এক্ষেত্রে কোন রিটার্নের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি হয়নি তা বিবেচনায় আসবে না।
পরিবর্তিত এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর হতে প্রযোজ্য হবে।